নুরুজ্জামান শেখ, শরীয়তপুর
শরীয়তপুর জেলার যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের কম্পিউটার বেসিক কোর্সের প্রশিক্ষক মোঃ শফিকুল ইসলাম গত ছয় মাসে মাত্র ৫ দিন ক্লাসে উপস্থিত ছিলেন। সরজমিন ঘুরে এবং ৫৩ তম কম্পিউটার বেসিক কোর্সের শিক্ষার্থীদের বক্তব্যে বলেন, এই যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ নেওয়া এক ছাত্রকে দিয়ে আমাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে। আমরা শফিকুল স্যার কে বারবার বলা সত্ত্বেও সে আমাদের কোন কথা তোয়াক্কা না করে তার ইচ্ছামত আমাদের মত ছাত্রকে বানালেন ক্লাসের শিক্ষক। বিষয়টি আমরা যুব উন্নয়নের অধিদপ্তরের কর্ণধার ডিডি শ্যামল কৃষ্ণ মালাকার এর নিকট অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাইনি। জেলার যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরটি অনিয়ম আর দুর্নীতির আতুর ঘর হিসেবে পরিণত হয়েছে। গোপন সূত্রে জানা গেছে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের একজন অফিস সহকারী এর মাধ্যমে যুব উন্নয়নের সকল দপ্তরের সকল কর্মকান্ড তার দ্বারা পরিচালিত হয়। যুব উন্নয়নের সকল দপ্তরের দুর্নীতি অফিস সহকারী কবির হোসেন মাধ্যমে হয়। শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক ও জেলার সাংবাদিক মিডিয়া কর্মীদের যুব উন্নয়নের দিকে দৃষ্টি না দেওয়ার কারণে অনিয়ম আর দুর্নীতি চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। কম্পিউটার প্রশিক্ষক শফিকুল ইসলাম গত তিন বছরে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে অসুস্থতার কথা বলে তার গড়ে তোলা নারায়ণগঞ্জে কিন্ডার গার্ডেনে বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছেন। স্যার শফিকুল ইসলামকে অনিয়মের সহযোগিতা করেছেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ডিডি শ্যামল কৃষ্ণ মালাকার। ৫৩ তম কম্পিউটার বেসিক কোর্সের শিক্ষার্থী রাজিব হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন,৫৩ তম কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কোর্সে মোট সিট ছিল ৮০টা। ৭০ টা সিট পূরণ হওয়ার পর বাকি ১০সিট খালি ছিল।সময় অতিবাহিত হওয়ার কারণে বাকি ১০টি সিট পূরণ করার জন্য প্রত্যেকের কাছ থেকে শফিকুল ইসলাম স্যার অফিস সহকারী কবির হোসেনের মাধ্যমে তিন হাজার টাকা করে বিক্রি করেন।এ বিষয়টি ডিডি মহোদয় স্যার কে জানালেও কোন প্রতিকার পাইনি উল্টো আমাদের সাথে খারাপ আচরণ করেন। এমনকি আমাদের ছয় মাসের ক্লাসে মাত্র পাঁচ দিন উপস্থিত ছিলেন শফিক স্যার।আমরা জেনেছি আরিফ নামের এক ছাত্রকে দিয়ে গত তিন বছর যাবত শফিকুল ইসলাম স্যার তার নিজের ক্লাস নিচ্ছেন। বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে অসুস্থতার কথা বলে গত তিন বছর যাবত ছুটি নিয়েছেন যুব উন্নয়নের এই শফিকুল ইসলাম স্যার।এখানে সার্টিফিকেট বাণিজ্য হয়। আমাদের ব্যাচে ৮০ জনের মধ্যে ৫০ জন পরীক্ষা দিয়েছিল।অর্থের বিনিময়ে অনুপস্থিত বাকি ৩০ জন ছাত্র-ছাত্রীকে শফিকুল ইসলাম স্যার তার ইচ্ছামত পরীক্ষা নিয়ে তাদেরকে সার্টিফিকেট দেন। যুব উন্নয়নের অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক শ্যামল কৃষ্ণ মালাকার গণমাধ্যমকে বলেন কম্পিউটার বেসিক কোর্সের প্রশিক্ষক শফিকুল ইসলাম স্যার শ্বাসকষ্ট জনিত কারণে অসুস্থ। ৬ মাসের ছুটির আবেদন করেছে। অসুস্থতার কারণে বেশিরভাগই ছুটিতে থাকেন। ৫৩ তম ব্যাচের এক ছাত্র আমাকে বলেছিল ছয় মাসে ক্লাসে মাত্র পাঁচদিন উপস্থিত ছিল প্রশিক্ষক শফিক স্যার। বিষয়টি আমার কাছে অসত্য মনে হয়েছে তবুও বিষয়টি খতিয়ে দেখব।যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর এর কম্পিউটার প্রশিক্ষক শফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন,আমার নামে যে অভিযোগগুলো এনেছে সম্পূর্ণ বানোয়াট ভিত্তিহীন। ৫৩ তম ব্যাচের রাজিব নামের এক ছাত্রকে এ গ্রেট না দেওয়ার কারণে আমার নামে বিভিন্ন মিথ্যা অপবাদ চালাচ্ছে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

সর্বশেষ সংবাদ